পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের চালু করা জনহিতকর প্রকল্প হলো কৃষক বন্ধু (Krishak Bandhu)। এই প্রকল্পে যে সকল চাষী ভাইদের এক একর বা তার বেশি জমি রয়েছে, তারা রাজ্য সরকারের থেকে সহায়তা পেয়ে থাকেন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় কৃষকদের। এই টাকা সরাসরি অনলাইনে ব্যাঙ্ক একাউন্টে জমা দেওয়া হয়।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য নতুন করে আবেদন মূলত অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই করা যায়। এই প্রকল্পের আবেদন কীভাবে করবেন এবং আবেদন করবার জন্য ঠিক কী কী ডকুমেন্ট লাগবে ও আবেদন জমা করবার পর কত দিনে টাকা পাবেন তা আজকের এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে গেলে আগে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হলে সেখানে গিয়ে আবেদনপত্র জমা করতে হতো। তবে এখন অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও আবেদন করা যায়। কীভাবে আবেদন জমা করবেন? জেনে নিন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নতুন আবেদন করার পদ্ধতি
১) অনলাইনে এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে ফোন বা কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ব্রাউজার ওপেন করে গুগলে গিয়ে ‘Krishak Bandhu’ লিখে সার্চ করতে হবে।
২) এইবার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট খুললে আপনি ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিজিট করুন এবং ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম অপশনে ক্লিক করুন।
৩) এরপর আবেদনকারীর ভোটার কার্ডের নাম্বার দিন ও আপনার মোবাইল নম্বর দিন। তারপর ‘Get OTP’ অপশনে ক্লিক, করলেই মোবাইলে ওটিপি চলে আসবে।
৪) সেই ওটিপি দিয়ে Confirm OTP অপশনে ক্লিক করুন।
৫) অনলাইনে আবেদন করার সময় আবেদনকারীর একটি ছবি আপলোড করতে হবে।
৬) আবেদনকারী কৃষকের দ্বিতীয় একটি মোবাইল নাম্বার ও ইমেল আইডি থাকলে সেটাও দিয়ে দিন।
৭) আবেদনকারীর নাম যদি পিএম কিষান প্রকল্পে থাকে তবে Self Declaration অপশনে Yes ও নাম না থাকলে No অপশনে ক্লিক করতে হবে। দুয়ারে সরকার আইডি নম্বর অপশনে কিছু করবেন না, এর পরের ধাপে আবেদনকারীর আধার কার্ডের ছবি আপলোড করতে হয়।
৮) আধার কার্ডের নম্বর নির্দিষ্ট জায়গায় দিতে হবে,আবেদনকারী কৃষক এইবার ভোটার কার্ডের ছবি আপলোড করবেন। কৃষকের নামটি বড় হাতের ইংরেজি ক্যাপিটাল লেটারে লিখতে হবে ও তারপর একে একে অন্যান্য তথ্য দিতে হবে।
৯) এইবার টাইপ অফ ফার্মার অপশনে কৃষক নিজের নামে জমি থাকলে ওনার অপশনে ক্লিক করবেন,যদি বর্গাদার হন, তাহলে বর্গাদার অপশনে ক্লিক করবেন ও জমির পাট্টা জমি থাকলে পাট্টাদার অপশনে ক্লিক করবেন।
১০) এইবার কৃষক নিজের পাস বইয়ের পাতার ডকুমেন্ট সাবমিট করে দিন।
১১) এরপর কৃষকের ব্যবহার করা ব্যাঙ্কের নাম, অ্যাকাউন্ট নাম্বার, আইএফএসসি কোড, ব্রাঞ্চের নাম ও একাউন্ট টাইপ করে লিখে দিন।
১২) আবেদনকারী কৃষককে ত্রি-শক্তির জমির তথ্য ল্যান ডিটেলসে লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনার জমি টি কোন জেলায়, কোন ব্লকে, কোন মৌজার অন্তর্গত হয়ে আছে তা নির্দিষ্ট ঘরে লিখতে হবে।
১৩) সংশ্লিষ্ট এই জমিটির জেলা নাম্বার, খতিয়ান টাইপ, খতিয়ান নম্বর ও জমির পরিমাণ কত সবটাই নির্দিষ্ট ঘরে বসাতে হবে ও আবেদনকারী কৃষককে নিজের জমির রেকর্ড আপলোড করতে হবে ও সেল্ফ ডিক্লারেশন অপশনে টিক চিহ্ন দিতে হবে।
১৪) এরপর যে কোনও একটি ডকুমেন্ট সিলেক্ট করে জমির সেই ডকুমেন্টটি আপলোড করতে হবে। এর পর আবেদন কারী কৃষকের যদি একাধিক মৌজায় একাধিক জমি থাকে তাহলে ‘অ্যাড ল্যান্ড ডিটেলস’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
১৫) এরপর পুরো ফর্ম ফিলাপ যখন কমপ্লিট, তখন নীচে ক্রিয়েট ফার্মার বলে একটি অপশন পাবেন, সেই অপশনে ক্লিক করলেই আপনার আবেদন প্রক্রিয়া কমপ্লিট হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ পিএম মুদ্রা স্কিমের টাকা বাড়িয়ে দিল সরকার, আগের থেকে এখন বেশি টাকা মিলবে
উল্লেখ্য আপনার আবেদনপত্র জমা করার পরার পর আপনি অল্প কয়েকদিন পরে ওয়েবসাইট থেকে প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করে দেখতে পারেন। এরপর সরকার যদি আপনার আবেদনটিকে মঞ্জুর করেন, তাহলে আপনি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবেন।