SC, ST রা তো পাচ্ছেই! এখন জেনারেলরাও পাবে যোগ্যশ্রীর সুবিধা

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী, সবুজসাথী থেকে যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার-রাজ্যের ছেলেমেয়ে থেকে পড়ুয়া, বেকার যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে ঘরের লক্ষী সকলের জন্য জনহিতকর প্রকল্প চালু করেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঠিক সেইরকম ভাবেই রাজ্যের সকল পড়ুয়াদের কথা ভেবে, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়ারা যাতে অর্থনৈতিক বাধা দূর করে মেধার ভিত্তিতে উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যেতে পারে সেই কথা ভেবে রাজ্য সরকার এক নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছেন। শুরু হয়েছে যোগ্যশ্রী প্রকল্প।

সমাজের মধ্যে পিছিয়ে পড়া রাজ্যের তফশিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত পড়ুয়াদের ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার এক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন আর সেই কারণে তিনি এক নতুন প্রকল্পের চালু করেছেন।

এই প্রকল্পের নাম হলে যোগ্যশ্রী প্রকল্প। অনেক সময় দেখা যায় যে, JEE (অ্যাডভান্সড), JEE (মেন), রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং NEET, IIT এন্ট্রান্স-এর মতো ইত্যাদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোতে বসবার জন্য পাঠক্রমের বাইরে পড়ুয়াদের বাড়তি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় কিন্তু যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, যারা গরিব পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, তাদের পক্ষে আলাদাভাবে এই প্রশিক্ষণ নেওয়া সম্ভব হয় না,তাই তারা এই প্রশিক্ষণ নিতে পারে না এবং চাকরির বাজারে তারা পিছিয়ে যায়। এই কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূলে যোগ্যশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সেই সমস্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিতে চাইছেন রাজ্য সরকার।

এই প্রকল্পের সুবিধা এতদিন শুধুমাত্র রাজ্যের তপশিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত পড়ুয়ারাই একাদশ শ্রেণী থেকে নিতে পারতেন কিন্তু সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, এবার থেকে বাকিরাও এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ যাতে পায় তার ব্যবস্থা তিনি করবেন।

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান তুলে টুইট করেছেন যে, “২০২৪ সালে JEE অ্যাডভান্সে ২৩ জন স্থান পেয়েছে, JEE মেইনে জায়গা করে নিয়েছে ৭৫ জন, রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সে rank করেছেন ৪৩২ জন। অন্যদিকে NEET-এ rank করেছেন ১১০ জন। গত কয়েক বছরের থেকে এবার এই পরীক্ষার ফল অনেক ভালো হয়েছে”।

Read More: AMRUT Yojana: ৩০০০ টাকা দেবে সরকার! টাকা ঢুকবে ৭ দিনের মধ্যে, কী করতে হবে?

এছাড়া তিনি আরো বলেছেন যে,“সামর্থ্য না থাকা ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে আমরা রাজ্যের যোগ্যশ্রীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ করেছি। প্রশিক্ষিতের সংখ্যাও বেড়ে ২০০০ ছাড়িয়েছে। আমরা চাই সমাজের দুর্বল স্তরে থাকা ছাত্রছাত্রীরা আরও বেশি করে চিকিৎসক এবং প্রযুক্তিবিদ হোক। তাই এ বার সংখ্যালঘু, সাধারণ বা জেনারেল ক্যাটাগরির ছাত্রছাত্রী এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভুক্তেরাও যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা পায়, তার ব্যবস্থা করবে সরকার।”

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Leave a Comment