দিনের পর দিন বাড়ছে মাছের দাম। এই দিন দিন বাড়তে থাকা সমস্যা সমাধানের জন্য, রাজ্য সরকার সুফল বাংলা মৎস্য প্রকল্প লঞ্চ করেছে। রাজ্য জুড়ে ন্যায্য মূল্য মাছ বিক্রি করা হবে এই প্রকল্পের অধীনে। রাজ্যের সাধারণ মানুষের বাজারের ব্যাগে, আরও সাশ্রয়ী মূল্যে মাছ তুলে দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্প৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন প্রস্তুতি। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে, দুর্গা পূজার আগেই খুলে যাবে ন্যায্য মূল্যের মাছের দোকান।
সুফল বাংলা মৎস্য প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন স্থানে ৩৪ টি মাছের দোকান খোলা হতে পারে, যার মধ্যে 20টি দোকান নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। কয়েকটি জায়গায় সুফল বাংলার সবজির দোকানেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে এই সুফল বাংলার কম দামী মাছের দোকান, যার দরুণ আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে এই প্রকল্পকে। উচ্চমানের মাছ ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করলে, পরিবারের উপর আর্থিক চাপও কমবে।
ভোক্তারা এই দোকানে ইলিশ, চিংড়ি, পাবদা, রুই এবং ফিশ ফ্রাইয়ের জন্য ফিশ ফিলেট সহ বিভিন্ন ধরণের জনপ্রিয় মাছ পাবেন বলে আশা করতে পারেন। যে মাছ বিক্রি করার আগে মাছের কোয়ালিটি নিশ্চিত করা হবে।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন যে আসন্ন পুজোর মরসুম, আমজনতার চাহিদা মোকাবেলার লক্ষ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নতুন মাছের দোকানগুলি কেবল ন্যায্য মূল্যই সরবরাহ করবে না, রাজ্যে মাছের উৎপাদনও বাড়াবে। অন্ধ্র প্রদেশ থেকে মাছ আমদানির উপর নির্ভরতা হ্রাস করবে।
এছাড়াও একবার মাছ কিনলে, তাঁর গুণমান ভালো হলে ক্রেতারা অবশ্যই আসবেন বারংবার। এতে ক্রেতা বিক্রেতা সকলেই খুশি।সাধারণ মানুষের পকেটের সুবিধার্থে এই বিষয়ে মৎস্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই দোকানে বিক্রির জন্য মাছ সরবরাহের দায়িত্ব নিজের হাতেই রাখতে চাইছে মৎস্য দফতর। ধীরে ধীরে দোকানের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুনঃ ফ্রি বিদ্যুৎ দেবে সরকার, এত ইউনিট পর্যন্ত টাকা লাগবে না
প্রসঙ্গত, এতদিন হরিণঘাটা মিট স্টল থেকে মাংস মিলত অনায়াসেই। বাংলা ডেয়ারির অধীনে দুধ থেকে শুরু করে প্যাকেটজাত মাছ, মাংস কম দামে কিনতে পারেন সাধারণ মানুষ। চড়া দামে বিক্রি হওয়া সবজির ক্ষেত্রেও সুফল বাংলার ক্রেতাদের শান্তি দিয়েছে। তাই এবার আসছে ন্যায্য মূল্যে মাছের দোকান। বাঙালির আর কী বা চাই।