কথায় বলে মানুষ না খেতে পেয়ে খুব কম মরে, মানুষ মরে রোগে। প্রিয়জনদের জটিল রোগ তা ক্যান্সার হোক অথবা লিভার সিরোসিস, হার্টের সমস্যা হোক অথবা কিডনির সমস্যা-যেকোনো সমস্যা হলেই মানুষের সব থেকে বড় যে দুশ্চিন্তাটা কাজ করে সেটা হল চিকিৎসার খরচ।
প্রচুর মানুষকে চিকিৎসা করানোর জন্য সমস্ত কিছু দিয়ে ভিটেমাটি ঘটি বিক্রি করে নিঃশেষ হয়ে যেতে হয়। যে কারণে মেডিকেল প্রভার্টি বলে একটি নতুন শব্দ বন্ধও তৈরি হয়েছে, যে কারণেই মানুষ বুঝছেন যে স্বাস্থ্য বীমা (Life Insurance) করানো কতটা প্রয়োজন।
মানুষের রোগ ভোগ হলে যেভাবে ঘটি, বাটি বিক্রি করে সর্বশ্রান্ত হয়ে যেতে হয়, সেখান থেকে স্বাস্থ্য বীমা করা থাকলে বেশ কিছুটা সমস্যার সমাধান হয়।
স্বাস্থ্য বীমা করানোর ক্ষেত্রে আরো একটি বড় সুবিধা হল এই যে, স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়াম বাবদ যে টাকা দেওয়া হয়,তাতে আয়কর দেওয়ার ক্ষেত্রেও বড় একটি ছাড় পাওয়া যায়, তবে এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বীমা করানোর আগে অবশ্যই ৫ টি বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত।
১) যে ব্যক্তির স্বাস্থ্য বীমা করানো হবে, তার স্বাস্থ্য বীমা করানোর আগে সেই ব্যক্তির বয়স , চিকিৎসার ইতিহাস, আগে কোন রোগ আছে কিনা সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখে এগোতে হবে। বিশেষত সেই ব্যক্তির আগে কোন রোগ আছে কিনা এবং ভবিষ্যতে আর কোন জটিল রোগ হতে পারে কিনা সেই বিষয়গুলি মাথায় রেখে পলিসি করাই ভালো।
২) একাধিক স্বাস্থ্য বীমা রয়েছে বাজারে আর সেই সব সংস্থার একাধিক পলিসি আছে, কিন্তু বিমা করানোর আগে অতি অবশ্যই সমস্ত বিমাকারী সংস্থার সাথে আলোচনা করে কোথায় কতটা কী খরচ হবে সেই বিষয়গুলি জেনে, কোন সংস্থা কত টাকার কভারেজ দেবে সেটা জেনে যাচাই করে তারপর বীমা করুন।
৩) কোন একটি স্বাস্থ্য বীমা করবার আগে অবশ্যই আপনার উচিত শর্তাবলির অংশটি ভালো করে পড়ে নেওয়া। চিকিৎসার নির্দিষ্ট উপসীমা, অপেক্ষার সময় ও বিমা ছাড়ার শর্তাবলীও ভালো করে পড়ে ঠিকমত জেনে নিয়ে তারপর বীমা করুন।
আরও পড়ুনঃ ফ্রি বিদ্যুৎ দেবে সরকার, এত ইউনিট পর্যন্ত টাকা লাগবে না
৪) সাধারণ কোনও রোগ ছাড়াও যদি কোনও বিশেষ রোগ থাকে বা জটিল রোগ থাকে,সে ক্ষেত্রে আপনার বিমা কারী সংস্থার সাথে কথা বলে নিন।
৫) স্বাস্থ্য বিমার পলিসি নির্বাচনের সময় বিমা সংস্থার ক্লেম সেটেলমেন্ট রেকর্ড ভালো করে দেখে নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিন। এতে সেই সংস্থার কর্মদক্ষতা সম্পর্কে আপনার একটি ধারণা হবে।