বিভিন্ন সময় মানুষ ব্যাঙ্কের থেকে লোন নেয়, বাড়ি করবার সময় গৃহঋণ নেয়, এছাড়া ও ব্যক্তিগত অনেক ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়া হয়। তবে সব সময় যে বড় কোন জিনিস কিনতেই গৃহঋণ বা ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়া হয় এমনটা নয়, অনেক সময় এমন হয় যে গাড়ি, ফ্রিজ, মোবাইলের মতো ছোটখাটো জিনিস কিনতেও মানুষ লোন নেয় আর এই লোন দীর্ঘমেয়াদী বছর ধরে প্রতিমাসে ইএমআই মেটাতে মেটাতে শোধ করা হয়। এখন এই ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন ওঠে তা হলো, এই সকল ইএমআই এবং লোনের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা মারা গেলে কে শোধ করবে ঐ লোনের টাকা।
ঋণ গ্রহীতা মারা তার টাকা কে শোধ করবে?
দীর্ঘমেয়াদি ব্যাঙ্ক লোন পরিশোধ- গৃহ বা অন্য কোন ব্যক্তিগত কারণে কেউ হয়তো দীর্ঘমেয়াদী লোন নিয়েছেন, এই ক্ষেত্রে কোন কারণে লোন সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করার আগে ঋণ গ্রহীতার মৃত্যু হলে লোন মেটানোর দায় কার ওপর এসে পড়বে? এই প্রশ্নের উত্তর চলুন জেনে নেওয়া যাক। প্রথমেই বলে রাখি এই ঋণ পরিশোধের ব্যাপারটা বিভিন্ন লোনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
গৃহ ঋণ (Home Loan)- হোম লোনের ক্ষেত্রে মানুষ ব্যাঙ্ক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে বাড়ি তৈরি করেন। এই কারণে হোম লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ি বন্ধক রাখতে হয়, বাড়ির যাবতীয় নথি ব্যাঙ্কের কাজে বন্ধক করেই লোন নেওয়া হয়, এই পরিস্থিতিতে যদি লোন পরিশোধের আগে ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হয় তাহলে ঋণের বিপুল দ্বায়িত্ব এসে পরে পরিবারের সদস্যদের উপরে।
এখন যদি দেখা যায় পরিবারের মধ্যে লোন পরিশোধ করবার মতো কেউ নেই, তখন বাড়িটি বিক্রি করে লোন পরিশোধ করতে হয়, আর পরিবার যদি সেটি না করে সে ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক বাড়িটিকে নিলামে তুলে লোন পরিশোধ করে।
তবে এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক নতুন একটি প্রকল্প নিয়ে এসেছে, এখন হোম লোনের ওপর বীমা অফার করা হয়, ঋণ গ্রহীতার মৃত্যুর পর এই বীমার মধ্য দিয়েই লোন মিটে যাবে যাতে পরিবারের সদস্যদের উপর কোন বাড়তি চাপ হবে না।
গাড়ির ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে- গাড়ির লোন পরিশোধের ক্ষেত্রে যদি হোম লোন শোধ না করেই ঋণ গ্রহীতার মৃত্যু হয়, তাহলে বাড়ির লোকের উপরে চাপ পড়ে। পরিবারের মধ্যে থাকা সদস্য যদি লোন শোধ করতে না পারে, সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে নিতে পারে। একবার গাড়ি বাজেয়াপ্ত হলে সেই গাড়ি ফেরত পাওয়া খুবই সমস্যার ব্যাপার।
ব্যাক্তিগত ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে- ব্যাক্তিগত ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে পার্সোনাল ও ক্রেডিট লোনের ক্ষেত্রে যদি ঋণ গ্রহীতার মৃত্যু হয় তাহলে হোম লোন বা কার লোনের মত এই বিষয়টা পরিবারের লোকের ওপর চাপ সৃষ্টি করে না, সে ক্ষেত্রে লোনের বিষয়টি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-
- স্বাস্থ্য বীমা করালেই হবেনা, এই ৫ টি কথা মাথায় রাখতে হবে
- ঠিকঠাক দামে মাছ পাবে রাজ্যের মানুষ, রাজ্যজুড়ে চালু হচ্ছে সুফল বাংলা মৎস্য প্রকল্প
- ফ্রি বিদ্যুৎ দেবে সরকার, এত ইউনিট পর্যন্ত টাকা লাগবে না
- পুজোর আগে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টোটো! নতুন নিয়ম করে দিল প্রশাসন