পড়াশোনার জন্য অর্থের প্রয়োজন হলে তার জন্য এখন শিক্ষা ঋণ বা এডুকেশন লোন (Education Loan) এর ব্যবস্থা রয়েছে। সবটাই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে হবে। বাড়ি কিনতে চাইলে ব্যাঙ্ক যেমন হোম লোন দেয়। গাড়ি কিনতে চাইলে ঋণ দেয়। কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলে ব্যক্তিগত ঋণ দেয়। লেখাপড়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন হলে তেমনই শিক্ষা ঋণও দিয়ে থাকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলো।
সাধারণত শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য এই লোন নিয়ে থাকে। এই লোন নিলে সুদের হার কত হবে এবং আবেদনের জন্য কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন হবে! সবটাই কিন্তু আগেভাগে জেনে নেওয়া জরুরি।
এডুকেশন লোনে সুদের হার
ভারতে সাধারণ কোর্সে পড়ার জন্য 4 লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোনের আবেদন করা যেতে পারে। সর্বোচ্চ 20 লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যেতে পারে। আবার বিদেশে পড়ার জন্য 25 লক্ষ থেকে 50 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যেতে পারে।
আর গত 10 বছরে বিদেশে পড়াশোনার জন্য এডুকেশন লোন নেওয়ার সংখ্যা প্রায় 215 শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এডুকেশন লোন নেওয়ার সময়, আপনার ক্রেডিট স্কোর, ঋণ পরিশোধের সময়কাল, একাডেমিক ট্র্যাক রেকর্ড, কোন কোর্সটি করতে যাচ্ছেন, সব বিবেচনা করুন।
এই সব বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই আপনি লোন পাবেন। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অবশ্য বিভিন্ন সুদের হারে অর্থাৎ 8 শতাংশ থেকে 15 শতাংশ পর্যন্ত লোন দেয়।
1) SBI 8.15% থেকে 11.15% হারে ঋণ দিচ্ছে।
2) ICICI ব্যাঙ্কের সুদের হার 9.50%।
3) Axis Bank 13.70% থেকে 15.20% সুদের হারে লোন দিচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ Divaa ক্রেডিট কার্ড দিচ্ছে ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, ১৮ বছরের বেশি বয়স হলেই পাবেন
কোন কোন ব্যাঙ্ক থেকে এডুকেশন লোন পাওয়া যায়?
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া: কম সুদের হার সহ সেরা কাস্টমাইজড শিক্ষা ঋণ।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক: OCI ক্যাটাগরির ছাত্রদের জন্য সেরা। বিদেশে জন্মগ্রহণ করলেও ভারতে অধ্যয়নের জন্য সেরা।
ICICI ব্যাঙ্ক: কানাডার নামী কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনার জন্য সেরা।
ব্যাঙ্ক অফ বরোদা: নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলে পড়া শিশুর পড়াশোনার জন্য ঋণের ক্ষেত্রে সেরা৷
ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া: কোনও প্রক্রিয়াকরণ ফি নেই এবং কম সুদের হার সহ ঋণের ক্ষেত্রে সেরা৷
ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র: মেধাবী ছাত্রদের জন্য সেরা।
সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া: স্বনামধন্য ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট থেকে এমবিএ করা আধিকারিকদের জন্য সেরা শিক্ষা ঋণ।
এডুকেশন লোন নেওয়ার জন্য কোন কোন নথি প্রয়োজন
1) আপনার আইডি প্রুফ অর্থাৎ আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্টের মতো নথি লাগবে।
2) ঠিকানার প্রমাণ এবং ব্যাঙ্কের বিবরণ দিতে হবে।
3) ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তির অভিভাবক বা পিতামাতার ভাল CIBIL স্কোর থাকতে হবে।
4) যে প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের ভর্তির সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
5) প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফলের একটি জেরক্স প্রয়োজন।
এগুলি ছাড়াও, ব্যাঙ্ক অন্যান্য কিছু নথি দাবি করতে পারে।