ভোট চলছে জোর কদমে। রেজাল্ট 4 জুন। আচরণবিধি বলবৎ থাকবে 6 জুন পর্যন্ত। এরই মধ্যে ভোট শুরুর আগে থেকেই বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে এসেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। রাজ্যের 5 লক্ষেরও বেশি সরকারি কর্মচারী এবং লক্ষাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী এখন তাকিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে। সপ্তম বেতন কমিশনের রিপোর্ট কবে কার্যকর করা হবে?
বর্তমানে, এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন পান। অথচ কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন এখন আকাশ ছোঁয়া। তাই এই রাজ্যেও সপ্তম বেতন কমিশনের প্রস্তাব দিয়ে 16 মার্চ জমা পড়েছিল রিপোর্ট। সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন 27.5 শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল। সবটা দেখে শুনে তখন মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, রিপোর্ট খতিয়ে দেখে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দাবি একটাই, কর্মীদের ন্যূনতম মূল বেতন 17,000 টাকা থেকে বাড়িয়ে 27,000 টাকা করতে হবে। উল্লেখ্য, গত অর্থবর্ষের অর্থ বরাদ্দ ছিল 65,000 কোটি টাকার মতো। চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের বেতন খাতে 15,431 কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে।
Read More: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকতে দেরি হলে, এই কাজটি করতে ভুলবেন না
এদিকে ভোটের রাজ্যে যদি সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা হয় তবে, সরকারের ঘরে 15,000 থেকে 20,000 কোটি টাকার বোঝা বাড়বে। এবার প্রশ্ন উঠছে, কবে নেওয়া হবে এই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত। কবে আসবে উপযুক্ত দিন? যেদিন রাজ্য কর্মীদের দিকটাও দেখবে রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, নির্বাচন শেষ হলেই কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশন বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন শুরু করতে পারেন। মাইনে বাড়ানোর দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরেই সরব ছিলেন রাজ্য কর্মীরা। ভোটের প্রাক্কালে অবস্থা বেগতিক দেখে প্রাথমিক ভাবে পদক্ষেপ করলেও ভোট এসে যাওয়ার পর সবটা ভেস্তে গিয়েছিল। তাই এবার আশা করা হচ্ছে যে, ভোট পর্ব শেষে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ফের সরব হলে রাজ্য সরকার বেতন বাড়াতে বাধ্য।
Read More: মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট তো বের হলো, এখন কী কী স্কলারশিপে আবেদন করা যাবে?
সম্প্রতি, শেষ হয়েছে কর্ণাটকের 28টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। কিন্তু আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি শিথিল হতে অনেক দেরি। কারণ কর্ণাটকে বিধান পরিষদ নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। তাই সে রাজ্যের আচরণবিধি 12 জুন পর্যন্ত চলবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মতো কর্ণাটকও বেতন ও মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো নিয়ে উত্তাল। তাই আজকের প্রতিবেদনটি ছিল কর্ণাটকের সরকারি কর্মীদের জন্যই।