যত শিক্ষিত হচ্ছে, চাকরিও তত কমছে। আজকাল গ্রাজুয়েশন হল ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা। MA বা মাস্টার্স করলেও তা নিতান্তই সাধারণ। তাহলে PHD! হ্যাঁ এটির অবশ্য এখনও সম্মান রয়েছে। সে যাই হোক, মোদ্দা কথা এটাই যে ভারতে বেকারত্ব এখন ভয়াবহ।
এতে তরুণদের অবস্থা আরও ভয়ানক। মোট বেকারদের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশিই নাকি ভারতীয় যুবক। এদিকে, তারুণ্য মানেই দেশের ভবিষ্যৎ। আর ভবিষ্যতে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি তৈরির স্বপ্ন দেখা হয়েছে। সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত অর্থনীতি তৈরি করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু তরুণদের কর্মসংস্থান ছাড়া তা কি আদৌ সম্ভব?
ILO ও IHD এর প্রকাশিত রিপোর্ট
সম্প্রতি, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (ILO) এবং ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (IHD) দ্বারা যৌথভাবে প্রকাশিত ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট ২০২৪ বেকারত্ব প্রসঙ্গে একগুচ্ছ তথ্য দিয়েছে। এই প্রতিবেদনটি সতর্ক করায় হাজারও প্রশ্নও উঠছে।
প্রতিবেদনে আসলে ভারতের শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে উচ্চ বেকারত্বের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে ২০২২ সালে, মোট বেকার জনসংখ্যার মধ্যে বেকার যুবকদের অংশ ছিল ৮২.৯%। প্রতিবেদনটি অনুসারে, ভারতে বেকারত্ব প্রাথমিকভাবে যুবকদের মধ্যে একটি সমস্যা ছিল, বিশেষ করে যাঁরা মাধ্যমিক স্তর বা তার উপরে শিক্ষা নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি, এবং এটি সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে৷
শিক্ষার হার বাড়ছে
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে সমস্ত বেকার মানুষের মধ্যে শিক্ষিত যুবকদের অংশও ২০০০ সালে ৫৪.২% থেকে ২০২২ সালে ৬৫.৭%-এ উন্নীত হয়েছে। শিক্ষিত (মাধ্যমিক স্তর বা উচ্চতর) বেকার যুবকদের মধ্যে, নারীদের অংশ (৭৬.৭%) পুরুষদের তুলনায় (৬২.২%) বেশি। এটি দেখায় যে ভারতে বেকারত্বের সমস্যা যুবকদের মধ্যে, বিশেষ করে শিক্ষিত যুবক এবং শহরাঞ্চলের মহিলাদের মধ্যে ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
বেশি শিক্ষিতদের মধ্যেই চাকরির অভাব বেশি
প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের বেকার কর্মশক্তির মধ্যে প্রায় ৮৩% যুবক রয়েছে এবং মোট বেকার যুবকদের মধ্যে মাধ্যমিক বা উচ্চশিক্ষা সহ যুবকদের অংশ ৬৫.৭%। অর্থাৎ বেকার যুবকদের সম্পর্কে কেউ এটা বলতে পারবেন না যে তাঁরা লেখাপড়া না করলে চাকরি পাবে কোথা থেকে। এ ধরনের শিক্ষিত যুবকের হার তো বাড়ছেই। ২০০০ সালে এই হার ছিল মাত্র ৩৫.২ শতাংশ। এর মানে প্রায় ২২ বছরে এটি প্রায় ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট ২০২৪-এ এই পরিসংখ্যান এসেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে অনেক বেশি ছিল। তরুণদের মধ্যে, যাঁরা মাধ্যমিক বা উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন তাদের তুলনায় এই হার ছিল ছয় গুণ বেশি (১৮.৪%) এবং স্নাতকদের জন্য নয় গুণ বেশি (২৯.১%), সেই তুলনায় যাঁরা পড়তে বা লিখতে পারেন না তাদের মধ্যে মাত্র ৩.৪%। ছিল। প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, তরুণরা গত দুই দশকে নিজেদের পূর্বসূরিদের তুলনায় উচ্চ স্তরের শিক্ষা অর্জন করেছে। তবুও তারা উন্নত মানের চাকরি পেতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
দক্ষতার ঘাটতি, লিঙ্গ বৈষম্য যুবকদের কর্মসংস্থানে বাধা
ভারতের তরুণদের মধ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব রয়েছে। প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে যে তরুণদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মধ্যে বেসিক ডিজিটাল দক্ষতার অভাব রয়েছে, যা তাঁদের কর্মসংস্থানে বাধা দিচ্ছে। যেমন প্রায় ৯০ শতাংশ ভারতীয় যুবক একটি স্প্রেডশীটে একটি গাণিতিক সূত্র প্রয়োগ করতে জানেন না, ৬০ শতাংশ ফাইল কপি এবং পেস্ট করতে পারেন না এবং কমপক্ষে 75 শতাংশ যুবক এটাচমেন্ট বা কোনও ফাইল সহ ইমেলও পাঠাতে জানেন না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার কম থাকায় শ্রমবাজারে লিঙ্গ ব্যবধান বৃদ্ধি হচ্ছে। অল্পবয়সী নারী, বিশেষ করে যাঁরা উচ্চশিক্ষিত, তাঁরা কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন।
সামাজিক বৈষম্য তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি ব্যক্তিদের ভাল কাজের সুযোগের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও সমস্ত গোষ্ঠীর মানুষই শিক্ষা গ্রহণ করছে, কিন্তু সামাজিক স্তরবিন্যাস কর্মসংস্থানেও বৈষম্য ডেকে আনছে।
🔥সরকারি চাকরি, সরকারি প্রকল্প-স্কিম, সরকারি ঘোষনা, সরকারি গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট 👇👇
👉 ভোটার কার্ডের জন্য ১ বছরের জেল হতে পারে! কিন্তু কেন জানেন কি?
👉 লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা এপ্রিল মাসে কত তারিখ থেকে ঢুকবে?
👉 Jio-এর আবার ফ্রি অফার! এবার ৫০ দিনের জন্য, এইভাবে নিন ফায়দা
👉 লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এপ্রিল মাসের বড় আপডেট!
👉 ৩১ মার্চ ছিল লাস্ট ডেট! এই কাজটি না করায় অনেকের ২০০০ টাকা আটকে যাবে