অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের বাড়ি করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আপনিও যদি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে আপনার বাড়ি তৈরি করতে চান। আপনার যদি এখনও কোনও স্থায়ী বাড়ি না থাকে তবে আপনিও এই স্কিমে আবেদন করে নিজের জন্য একটি স্থায়ী বাড়ি তৈরি করতে পারবেন।
আবার অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে আবেদন করে ফেলেছেন। তাঁদের টাকা দেওয়াও শুরু করেছে কেন্দ্র। এবার কেন্দ্রের তালিকায় আবেদনকারীর নাম আছে কিনা তা একবার চেক করে নিতে হবে।
তাহলে, যাঁরা নতুন আবেদন করছেন, কিংবা যাঁরা আগে আবেদন করেছেন, এখন টাকা পাওয়ার আশায় রয়েছেন। প্রত্যেকের জন্যই তথ্য দিচ্ছি আমরা।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা
1) এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের বাড়ি তৈরির জন্য 1 লাখ 20 হাজার টাকা দেওয়া হবে।
2) এই প্রকল্পের টাকা বিভিন্ন কিস্তিতে সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে
3) টাকা দেওয়া হবে, যা সরাসরি DBT-এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
4) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় 270 বর্গফুট পর্যন্ত বাড়ি তৈরি করা হবে।
5) ঘরের পাশাপাশি শৌচাগার তৈরির জন্য আলাদা টাকা দেওয়া হবে।
6) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় মহিলাদের প্রথম অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে সরকার দুই ভাগে ভাগ করেছে। প্রথম অংশটি গ্রামাঞ্চলের জন্য এবং দ্বিতীয় অংশটি শহরাঞ্চলের জন্য। উভয় এলাকার মানুষকে বিভিন্ন পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন: ভোটের মধ্যেই বদলে যাবে রেশন কার্ড! শুধু করতে হবে এই কাজ
1) প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা (PMAY-G)
25 বর্গ মিটার পর্যন্ত ঘর তৈরি করা হবে, যার মধ্যে রান্নাঘর রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় 1 লাখ 20 হাজার টাকা দেওয়া হবে। পাহাড়ি এলাকার গ্রামবাসীদের দেওয়া হবে 1 লাখ 30 হাজার টাকা।
2) প্রধানমন্ত্রী শাহরি আবাস যোজনা (PMAY-U)
শহরাঞ্চলের মানুষদের স্থায়ী বাড়ি তৈরির জন্য সরকার 1 লক্ষ 50 হাজার টাকা দেবে। টাকা বিভিন্ন কিস্তিতে সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবেদনের যোগ্যতা
1) এই প্রকল্পের সুবিধা সেই পরিবারগুলিকে দেওয়া হবে যাদের কোনও স্থায়ী বাড়ি নেই।
2) আগে থেকে ভারত সরকার বা রাজ্য সরকারের কোনও আবাসন প্রকল্পের সুবিধা নিলে হবে না।
3) আবেদনকারীর পরিবারের কোনো সদস্য সরকারি চাকরিতে থাকলে হবে না।
4) পরিবারের আয় বার্ষিক 2 লাখ টাকার কম হতে হবে।
5) আবেদনকারীর নির্মিত বাড়ি না থাকলেও জমি থাকতে হবে, যেখানে সরকার বাড়ি বানাবে।
এই স্কিমের জন্য আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি
আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড, প্যান কার্ড, জাত শংসাপত্র, আয় শংসাপত্র, আবাসিক শংসাপত্র, রেশন কার্ড, মোবাইল নম্বর, ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, পাসপোর্ট সাইজ ছবি
অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া
1) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য আবেদন করতে, আপনাকে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
2) এর পরে, হোম পেজে অনলাইনে আবেদন করার একটি বিকল্প দেখতে পাবেন যেখানে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।
3) আবাসন প্রকল্পের একটি পেজে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
4) সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
5) এবার আবেদন নম্বরটি পেলে, আপনার আবেদনের স্থিতি পরীক্ষা করতে পারবেন।
এইভাবে আপনি ঘরে বসেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য আপনার আবেদন জমা দিতে পারেন। এছাড়াও গ্রামে থাকলে গ্রাম প্রধান কিংবা শহরে থাকলে সেখানকার কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে অফলাইনেও আবেদন করতে পারবেন
আরো পড়ুন: সরকারি সুবিধা বন্ধ হতে পারে! সময় থাকতে করুন আধার কার্ডের এই কাজ
আবেদন ঠিক করেছেন কিনা কীভাবে বুঝবেন?
1) আবেদনের স্ট্যাটাস দেখতে প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে হোম পেজে View Application Status অপশনে ক্লিক করতে হবে।
2) আপনার নিবন্ধন নম্বর চাওয়া হবে। সেটি প্রবেশ করার পরে, একটি ক্যাপচা কোড লিখে নীচের সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
3) এর পরে আপনার আবেদনের স্ট্যাটাস আপনার স্ক্রিনে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে।
কীভাবে আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার?
সাধারণত তিনটি কিস্তিতে টাকা পাঠাবে কেন্দ্র। যেমন, যাঁরা 1 লক্ষ 20 হাজার টাকা পাবেন, তাঁরা প্রথম কিস্তিতে 60 হাজার টাকা, দ্বিতীয় কিস্তিতে 50 হাজার টাকা, তৃতীয় কিস্তিতে 10 হাজার টাকা পাবেন।
আরো পড়ুন: পোস্ট অফিসে গ্রুপ-C চাকরি, মাধ্যমিক পাশে কর্মী নিয়গ চলছে
লিস্টে আপনার রয়েছে কিনা কীভাবে বুঝবেন?
ধাপ 1: অফিসিয়াল PMAY-তে যান।
ধাপ 2: Awaassoft এ ক্লিক করে Report এ ক্লিক করুন।
ধাপ 3: ‘Beneficiary Details For Verification’ বিকল্পটি বেছে নিন।
ধাপ 4: এবার একবার আপনি বিশদ বিবরণ যেমন রাজ্যেের নাম, জেলার নাম, ব্লকের নাম, গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম তহবিলে সুবিধাভোগীর অবস্থা স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে।