WhatsApp Group Join Now

1/9: একবার প্যান কার্ড আবার পর মুহূর্তে রেশন কার্ড, তারপর আরেকটা কিছুর সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করার কথা ঘোষণা হচ্ছে। এর মধ্যে আবার আধার কার্ড আপডেট করার কথাও বলছে সরকার। সব মিলিয়ে ভারতবাসীদের জীবনে চর্চার অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ১২ সংখ্যার আধার নম্বর ও আধার কার্ড। কিন্তু জানেন কি প্রথম আধার কার্ডের অধিকারী কে? অর্থাৎ দেশের কোন নাগরিক প্রথম সচিত্র পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ড পেয়েছিলেন?

2/9: মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দূরের গ্রাম টেম্বলি। সেই গ্রামের বধূ রঞ্জনা সোনাওয়ানে ২০১০ সালে দেশের প্রথম নাগরিক হিসেবে আধার কার্ড হাতে পান। অথচ এতদিন অনেকেই হয়তো ভাবতেন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল প্রথম আধার কার্ড পেয়ে ছিলেন। কিন্তু সেটা ঠিক নয়।

3/9: দেশের প্রথম আধার কার্ড প্রাপক রঞ্জনা। তাঁর সম্বন্ধে আরও এমন কিছু তথ্য আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরব যা জানলে চমকে উঠবেন। এমনকি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে পারেন।

4/9: দেশের প্রথম আধার কার্ড প্রাপক রঞ্জনা সোনাওয়ানে একজন দিনমজুর। তবে দিনমজুরি করেও দু’বেলা পেট ভরা খাবার পান না। স্বামী-সন্তানকে নিয়ে তাঁর প্রবল কষ্টের সংসার। তাও এর আগে যাও বা একটু ভালোভাবে জীবন চলত ২০১৬ সালের নোট বন্দির পর যেন অমাবস্যার অন্ধকার নেমে এসেছে রঞ্জনার জীবনে

5/9: তারপর থেকে ঠিক করে আর কাজ পান না। সপ্তাহে একদিন-দু’দিন কাজ পান। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, দেশের প্রথম আধার প্রাপকের বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সংযোগ নেই। কেন্দ্রীয় সরকার উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের বধূদের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দিলেও রঞ্জনা তা পাননি।

6/9: ফলে বিরল সম্মানের অধিকারী হয়েও প্রতিদিন জঙ্গল থেকে কুড়িয়ে আনা কাঠ উনুনে জ্বাল দিয়ে রান্না করেন। অবশ্য রান্না বলতে ওই ভাত ফোটানো আর আলু-শাকপাতা সিদ্ধ। দেশের প্রথম আধার কার্ড প্রাপক ঠিক কতটা হতদরিদ্র তা একটা তথ্য দিলে বুঝতে পারবেন। জনধন যোজনায় আধার কার্ড সংযোগে জিরো ব্যালেন্স সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছিল এই মহিলার। কিন্তু সেই অ্যাকাউন্টে বর্তমানে এক টাকাও ব্যালেন্স নেই!

WhatsApp Group Join Now

7/9: প্রথম আধার কার্ড হাতে পেলেও সেই স্মৃতি মনে রাখতে চান না রঞ্জনা। বরং তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে জানান, তাঁদের মত দরিদ্রদের সকলে ব্যবহার করে। দেশের কোন‌ও সরকার তাঁদের কথা ভাবেনি বলেও ক্ষোভ উগরে দেন। আশ্চর্যের বিষয় হল কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের একাধিক সামাজিক প্রকল্প থাকলেও আজও পর্যন্ত রঞ্জনা ও তাঁর গ্রামের বহু মহিলা কোনরকম ভর্তুকি বা অনুদানের টাকা পাননি

8/9: রঞ্জনা সোনাওয়ানে যে গ্রামে থাকেন সেই টেম্বলি সম্বন্ধেও একটি চমকপ্রদ তথ্য আছে। ২০১৬ সালের নোট বন্দির পর সর্বত্র যখন মানুষ ব্যাঙ্কের বাইরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, সেই সময় এই গ্রামের একজন বাসিন্দাকেও ব্যাঙ্কে লাইন দিতে হয়নি। এই গ্রাম থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা আছে। সেই কারণে গ্রামের কেউ নোট বন্দির সময় ব্যাঙ্কে যাননি বিষয়টা এমন নয়। আসলে এখানকার কারোর কাছে ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট ছিল না। তাই ব্যাঙ্কে গিয়ে নোট পরিবর্তনের প্রয়োজনও পড়েনি।

9/9: দেশের প্রথম আধার কার্ড প্রাপক হিসেবে রঞ্জনা সোনাওয়ানের বাড়ির দেওয়ালে একটা বড় ছবি শোভা পাচ্ছে। তবে সেই স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া হয়ে ওঠেনি এই বধূর। বরং এমন বিরল সম্মানের অধিকারী হয়েও কোনরকমে কাটছে তাঁর জীবন।

🔥 সরকারি চাকরি, সরকারি প্রকল্প-স্কিম, সরকারি ঘোষনা, সরকারি গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।

✅ WhatsApp Group: Join Now

✅ আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট

👉 ট্রেনের টিকিট এর এই নিয়ম 99% লোক এই নিয়ম জানে না

👉 আধার কার্ডে থাকা QR কোডের কাজ কী?

👉 রেশন নিয়ে সরকারের সতর্কবার্তা, না মানলে রেশন পাওয়া বন্ধ হতে পারে

👉 সোনার গয়না নিয়ে কড়া নিয়ম চালু করল সরকার!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *