WhatsApp Group Join Now

Labour Card 2023: রাজ্যের মানুষের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প চালু করেছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা কমবেশি সকলেই জানেন। কিন্তু আজ আপনাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রকল্পের কথা জানাব। যার কথা অনেকে জানেন, আবার অনেকে জানেন‌ও না।

এই সামাজিক প্রকল্পের হাত ধরে বাংলার দিনমজুর পরিবারের অসহায় দুঃস্থ মানুষদের জীবন বদলে যেতে শুরু করেছে। আসলে আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্মাণ শ্রমিক প্রকল্পের কথা বলছি। এই প্রকল্পটি আবার রাজ্যের দিনমজুরদের কাছে লেবার কার্ড নামে পরিচিত।

লেবার কার্ড কী? (What is Labour Card in Bengali)

লেবার কার্ড বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে কিছু প্রণয়ন করা হয়নি। তবে লোকমুখে প্রচলিত নামের সঙ্গে নির্মাণ শ্রমিক প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যের হুবহু মিল আছে। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পটি পুরোপুরিভাবে রাজ্যের হতদরিদ্র দিনমজুরদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। যাতে কম উপার্জন হলেও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এক নিরাপদ জীবন উপহার পেতে পারেন।

রাস্তা, রেল, ট্রামলাইন, বিমানবন্দর, বাড়ি সেচ ও নিকাশি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ ব্যাবস্থা, টেলিফোন ও টেলিফোনের টাওয়ার লাগানো, জলাশয়, জলাধার, সুড়ঙ্গ বানানো, পাইপ লাইন, তেল ও গ্যাস সংস্থাপন ইত্যাদি ক্ষেত্রের নির্মাণ, সংস্কার ও রুক্ষণাবেক্ষণের কাজে যে সকল দিনমজুররা নিযুক্ত থাকেন তাঁরাই কেবলমাত্র নির্মাণ শ্রমিক প্রকল্পে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। সেইসঙ্গে বয়স হতে হবে ১৮-৬০ বছরের মধ্যে। এক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে উপরে উল্লেখ করা বিষয়গুলি ছাড়াও আরও কয়েকটি ক্ষেত্র যোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই ক্ষেত্রগুলিতে নিয়োজিত দিনমজুর নির্মাণ শ্রমিক হলে তবেই এই প্রকল্পে অংশ নেওয়া যাবে। এই ধরনের বড় বড় নির্মাণ প্রকল্পে দিনমজুর ছাড়াও অনেক দক্ষ শ্রমিক কাজ করেন। তাঁরা কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সামাজিক প্রকল্প বা লেবার কার্ডের সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।

WhatsApp Group Join Now

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্মাণ শ্রমিক প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে হলে গত আর্থিক বছরে একজন দিনমজুরকে অন্তত ৯০ দিন কাজ করে থাকতে হবে। সেই কাজ করার প্রমাণ এই প্রকল্পের আবেদন পত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। তা দিতে না পারলে প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন সংশ্লিষ্ট দিনমজুরের পরিবার।

লেবার কার্ডের সুবিধা (Labour Card Benefits)

লেবার কার্ড থাকলে একজন দিনমজুর নানান ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হল তাঁর‌ সন্তানদের পড়াশোনার দায়ভার বহন করবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি চিকিৎসার প্রয়োজনেও আর্থিক সাহায্য দেবে রাজ্য। লেবার কার্ড থাকলে ৬০ বছর বয়সের পর ওই দিনমজুর প্রতিমাসে সরকারের থেকে ৫০০-৮৭০ টাকা পর্যন্ত ভাতা পাবেন। এছাড়াও ৬০ বছর বয়স হওয়ার আগে কোনও দিনমজুরের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার ৩০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন।

লেবার কার্ডের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া (Labour Card Application Process)

লেবার কার্ডের জন্য আপনি বাড়িতে বসেই আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও রাজ্য সরকারের তথ্যমিত্র কেন্দ্রে গিয়েও লেবার কার্ড বা নির্মাণ শ্রমিক প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা যাবে।

অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া

(1) বাড়িতে বসে লেবার কার্ডের জন্য আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই https://edistrict.wb.gov.in/ এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

(2) এরপর হোম পেজে New Registration অপশনে ক্লিক করবেন।

(3) নতুন যে পেজ ওপেন হবে সেখানে নিজের নাম, মোবাইল নম্বর, ই-মেল লিখে NEXT অপশনে ক্লিক করুন।

(4) এবার USER NAME এবং PASSWORD দিন। OTP আসবে, তা সঠিকভাবে পুত করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করুন।

তবে যারা আগেই এই পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করে রেখেছেন তাঁদের আর আলাদা করে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে যাওয়ার দরকার পড়বে না।

(5) এবার Login করে মূল জায়গায় ঢুকুন। আপনার সামনে নতুন যে পেজটি ওপেন হবে সেখানে LABOUR অপশনটিতে ক্লিক করুন। এর অধীনে থাকা BUILDING AND OTHER CONSTRUCTION WORKERS BENEFICIARY REGISTRATION PROCESS অপশনে ক্লিক করবেন।

(6) নতুন একটি পেজ ওপেন হবে। সেখানে চোখ বুলিয়ে নিয়ে Apply অপশনে ক্লিক করুন। এবার নতুন যে পেজ ওপেন হবে সেখানে নিজের নাম, বিপিএল তালিকাভুক্ত কিনা, জন্ম তারিখ, বয়স, মোবাইল নম্বর, ই-মেল, আধার কার্ড নম্বর, বিবাহিত কিনা এই বিষয়গুলি সঠিকভাবে তথ্য দিয়ে পূরণ করুন।

(7) এবার নিজের ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার পর Save and Next অপশনে ক্লিক করুন। এরপর নতুন একটি পেজ ওপেন হবে। সেখানে মা-বাবার নাম সহ নিজের স্থায়ী ঠিকানা দিন। গত এক বছরে যে আপনি অন্তত ৯০ দিন কাজ করেছেন সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এখানে দিন। এক্ষেত্রে আপনি কোন পদে কাজ করছেন, কতদিন ধরে কাজ করছেন, যে সংস্থার অধীনে কাজ করছেন তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর, যেখানে কাজ করছেন তার ঠিকানা সহ বিষয়গুলি সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।

(8) এবার নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাঙ্কের নাম, ব্যাঙ্কের শাখার নাম, IFSC কোড সহ আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য নির্ভুলভাবে দিন।

(9) আপনার উপর পরিবারের কতজন নির্ভরশীল, সন্তানদের নাম, আপনার নমিনির নাম ও বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করুন। এই সমস্ত তথ্যগুলি সঠিকভাবে পূরণ করে নিচে থাকা Terms and Conditions অপশনে ক্লিক করুন। এবার Save and Next অপশনে ক্লিক করবেন।

(10) বার আপনার সামনে ফিলাপ করা ফর্মটির একটি প্রিভিউ চলে আসবে। এবার Attach Supporting Documents অপশনে ক্লিক করে এই সংক্রান্ত যা যা ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে তা স্ক্যান করে পোর্টালে আপলোড করে দিন। এক্ষেত্রে পোর্টালে উল্লিখিত ২৭ নম্বর ফর্মটি আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে এবং সেটি নিজে হাতে সঠিকভাবে পূরণ করে স্ক্যান করে পোর্টালে আপলোড করতে হবে। সব শেষে Submit অপশনে ক্লিক করুন। লেবার কার্ডের জন্য আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

লেবার কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র

লেবার কার্ডের জন্য আবেদন জানাতে বসার আগে এই নথিগুলো স্ক্যান করে সফট কপি কাছে রেখে বসুন-

(1) বয়সের প্রমাণপত্র

(2) বর্তমানে যে সংস্থার অধীনে কাজ করছেন তার প্রমাণপত্র

(3) নিজের পাসপোর্ট সাইজ ছবি

লেবার কার্ড করতে কত টাকা লাগবে?

আপনি যদি বাড়িতে বসে লেবার কার্ড তথা নির্মাণ শ্রমিক প্রকল্পের জন্য নিজেই আবেদন করেন তবে সবশেষে ৫০ টাকা ফি দিতে হবে। তবে যদি রাজ্যের তথ্য মিত্র কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আরও অতিরিক্ত ২০ টাকা খরচ হবে

🔥 সরকারি চাকরি, সরকারি প্রকল্প-স্কিম, সরকারি ঘোষনা, সরকারি গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।

✅ WhatsApp Group: Join Now

✅ আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট

👉 1000 টাকার নোট ফের বাজারে আসতে চলেছে? আসল সত্যিটা জানুন

👉 অবশেষে রাজ্যে গরমের ছুটি শেষ, জুন মাসের এইদিন থেকে খুলে যাচ্ছে স্কুল

👉 ১ জুলাই থেকে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ফ্রি, এই সমস্ত লোকেদের জন্য

👉 পাসপোর্ট ছাড়াই আধার কার্ড দিয়েই ঘুরে আসুন এই সমস্ত দেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *