WhatsApp Group Join Now

কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি এদেশে রাজ্য সরকারগুলিও সাধারণ মানুষের সাহায্যার্থে রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন স্কিম নিয়ে আসে। কেন্দ্র তার নিজের মতো করে দাম ও ভর্তুকি দিয়ে যা রেশন দেয় দেয় এর বাইরে বিভিন্ন রাজ্য সরকার নিজের রাজ্যের মানুষের প্রয়োজন বুঝে এই একই রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে কোন‌ও সময় ভর্তুকিতে চাল বা গম, আবার কখনও অত্যন্ত কম মূল্যে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য দিয়ে থাকে।

এর ফলে সাধারণ মানুষ‌ও প্রভূত পরিমানে উপকৃত হয়। বিশেষ করে দরিদ্র সীমার নিচে থাকা মানুষেরা রাজ্য সরকারগুলির এই ধরনের প্রকল্পের জেরেই দু’বেলা দু’মুঠো ভর্তির খাবার খেতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রের একটা ছোট্ট নীতির পরিবর্তন এবার এই দরিদ্র মানুষগুলোর মাথা খারাপ করে দিতে পারে। আপনিও যদি রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন তবে এই খবর অবশ্যই আপনার জন্য

ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা FCI কেন্দ্রীয় খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা হলেও তারা রাজ্য সরকারগুলোকেওচাহিদা মতো চাল-গম সরবরাহ করে থাকে। কোন‌ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা রেশনে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ অনুযায়ী রাজ্যগুলির যা প্রাপ্য সেটা বিনামূল্যেই দেয় এফসিআই।

তবে এর বাইরে নিজের রাজ্যের মানুষকে বিশেষ সুবিধা দিতে কোন‌ও রাজ্য সরকারের যদি অতিরিক্ত খাদ্যশস্যের প্রয়োজন থাকে তবে সেটা টাকার বিনিময়ে এফসিআই থেকে কিনতে হয়। যদিও এফসিআই অনেকটা কম দামে রাজ্য সরকারগুলোকে এই অতিরিক্ত খাদ্যশস্য বিক্রি করে থাকে

ফুড কর্পোরেশনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, সারা ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খাদ্যশস্য মজুত রাখা এবং সরবরাহ করার ক্ষমতা একমাত্র তাদেরই আছে। কিন্তু এই এফসিআই-এর খাদ্যশস্য সরবরাহ নিয়েই সম্প্রতি একটি নীতির পরিবর্তন করেছে কেন্দ্র। আর তাতেই সাধারণ মানুষের পাশাপাশি মাথায় হাত রাজ্যগুলোর।

OMSS এর নিয়মে পরিবর্তন

WhatsApp Group Join Now

খোলা বাজারে চাল ও আটার দাম স্বাভাবিক রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি তাদের ওপেন মার্কেট সেলস স্কিম (OMSS)-এ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এর ফলে রাজ্যের গরিব মানুষকে বিনামূল্যে অতিরিক্ত খাদ্য শষ্য সরবরাহ করতে হলে রাজ্যগুলিকেও এবার এফসিআই-এর ই-টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। তারা আর আগের মত নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিয়ে এফসিআই থেকে সরাসরি খাদ্যশস্য পাবে না। উল্লেখ্য বেসরকারি সংস্থা বা ব্যবসায়ীরা এফসিআই থেকে চাল গম কেনার সময় এই ই-টেন্ডার ব্যবস্থার মাধ্যমেই কিনে থাকে।

কেন্দ্রের যুক্তি, রাজ্যগুলি ইচ্ছেমতো ই-টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়ে সরাসরি এফসিআই থেকে খাদ্যশস্য নিয়ে নিলে খোলা বাজারে চাল-আটার দামে প্রভাব পড়ে। খোলা বাজারে যাতে চাল-আটার দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে তার জন্যই এমন নীতি নেওয়া হয়েছে। এদিকে অতীতের সুবিধে বদলে যাওয়ায় রাজ্যগুলিও বুঝতে পারছে না রাজ্যবাসীর জন্য চালু করা বিনামূল্যের খাদ্যশস্যের প্রকল্পগুলো শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত করা যাবে কিনা। কারণ ই-টেন্ডার প্রক্রিয়ায় রাজ্যগুলির ভাগে কতটা খাদ্যশস্য শেষ পর্যন্ত জুটবে তা নিশ্চিত নয়

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা

কেন্দ্রীয় খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে দেশের বেশ কিছু বিরোধী দল। কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের অভিযোগ, তাদের রাজ্যের গরিব মানুষের স্বার্থে নেওয়ার নীতিতে বাধা দেওয়ার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য কর্নাটকের দরিদ্র সীমার নিচে থাকা বাসিন্দাদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার জন্য সে রাজ্য সরকার এফসিআই-এর কাছে কুইন্টাল পিছু ৩,৪০০ টাকা দরে ১৩,৮১৯ টন চাল চেয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের এই নতুন নীতির জেরে তা প্রত্যাখ্যান করে এফসিআই। ফলে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্ণাটকে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস তা শেষ পর্যন্ত রাখা সম্ভব হবে কিনা সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে।

🔥 সরকারি চাকরি, সরকারি প্রকল্প-স্কিম, সরকারি ঘোষনা, সরকারি গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।

✅ WhatsApp Group: Join Now

✅ আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট

👉 রেশন কার্ড নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

👉 বাতিল ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকদের আশার আলো

👉 আধার কার্ড নিয়ে সবাইকে সতর্ক করল UIDAI

👉 আধার আপডেট করার সময়সীমা বাড়ানো হলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *