গত অক্টোবর থেকেই শুরু হয়েছে ধরপাকড়। পড়ি কি মরি করে ছোটাছুটি করে রান্নার গ্যাসের সঙ্গে ই-কেওয়াইসি অর্থাৎ আধার লিংক করিয়ে ফেলেছেন প্রায় ৬০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশের মতো গ্রাহক। সে উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস হতে পারে, কিংবা সাধারণ গ্যাস। কারণ এখন এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার থাকলেই ই-কেওয়াইসি করা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে।
যাঁরা ই-কেওয়াইসি করেননি তাঁরা ভর্তুকির সুবিধা পাবেন না! তবে এই বিধান নতুন নয়। উজ্জ্বলা প্রকল্পের বিষয়ে, এটি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছিল। এবার কেন্দ্র বলেছে যে 31 মার্চের মধ্যে বাকি গ্রাহকদের ই-কেওয়াইসির কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলতেই হবে।
প্রশ্ন উঠছে, যাঁরা এখনও লিঙ্ক করে উঠতে পারেননি, তাঁদের কী হবে? এলপিজি সংযোগ কী বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে? কীভাবে করতে হবে এই যাচাইকরণ? না করলে কী সত্যিই কোনও ভর্তুকি আসবে না? ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র? এই সবেরই উত্তর পাবেন সরকারি ভাণ্ডারের তরফে।
কোন পদ্ধতিতে গ্যাসের আধার যাচাইকরণ করা হয়?
বর্তমানে দুইভাবে KYC করা যায়। আপনি গ্যাস এজেন্সি অফিসে গিয়ে KYC করাতে পারেন। এছাড়াও, অনলাইন কেওয়াইসি পাওয়ার বিকল্প পাওয়া যায়।
1. গ্যাস এজেন্সি অফিসে গিয়ে KYC
কেন্দ্রের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, গ্রাহককে স্থানীয় সংস্থায় গ্যাস সংযোগের বই এবং আধার কার্ড জমা দিতে হবে। এর পর গ্রাহকের আঙুলের ছাপ বা রেটিনা স্ক্যান করা হবে। অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটরস ফেডারেশন বলেছেন যে যেকোনও পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই 31 শে মার্চের মধ্যে গ্রাহকদের ই-কেওয়াইসি করা উচিত।
2. অনলাইনে ঘরে বসে KYC
১) অনলাইন কেওয়াইসির জন্য এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.mylpg.in/ দেখুন।
২) ওয়েবসাইটের হোমপেজে এইচপি, ইন্ডিয়ান এবং ভারত গ্যাস কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডারের ছবি দেখতে পাবেন।
৩) যে গ্যাস কোম্পানির সাথে আপনার সংযোগ আছে তার সিলিন্ডারের ছবিতে ক্লিক করুন।
৪) সংশ্লিষ্ট গ্যাস কোম্পানির ওয়েবসাইটে KYC অপশন আসবে, সেটিতে ক্লিক করুন।
৫) এখানে আপনাকে মোবাইল নম্বর, গ্রাহক নম্বর এবং এলপিজি আইডি সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হবে। আপনাকে এই তথ্যগুলির মধ্যে একটি প্রদান করতে হবে।
৬) এর পরে, আধার যাচাইকরণের জন্য OTP জেনারেট করার বিকল্প আসবে এবং OTP তৈরি হওয়ার পরে, একটি নতুন পৃষ্ঠা খুলবে।
৭) এই পৃষ্ঠার পরে, আপনাকে কোম্পানির দ্বারা জিজ্ঞাসা করা সমস্ত তথ্য প্রদান করতে হবে এবং এইভাবেই আপনার KYC আপডেট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, এছাড়াও ইন্ডেন, ভারত গ্যাস এবং এইচপি গ্যাসের নির্দিষ্ট অ্যাপও রয়েছে, ‘ইন্ডিয়ানওয়েল ওয়ান মোবাইল অ্যাপ’, ‘হ্যালো বিপিসিএল মোবাইল অ্যাপ’ ও ‘এইচপি পে অ্যাপ’। এগুলির সঙ্গে ‘আধারফেসআরডি অ্যাপ’-ও রয়েছে।
31 মার্চের মধ্যে ই-কেওয়াইসি না করলে কী হবে?
রিপোর্ট বলছে, 31 মার্চের মধ্যে আধার যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তবেই নাকি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার গ্রাহকেরা ভর্তুকি সুবিধা পেতে পারবেন। যদি এটি না করা হয় তবে 31 মার্চের পরে সরকারের তরফে ভর্তুকি বন্ধ করা হবে।
এবার ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে সামনের রবিবারের মধ্যে সমস্ত যাচাই বাছাই পর্ব সম্পূর্ণ করার নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তেল মন্ত্রক। এ কথা যেমন ঠিকই। তেমনই আবার তেল সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, কাজটি সম্পূর্ণ না হলে ভর্তুকি বন্ধ হওয়া বা রান্নার গ্যাসের সংযোগ সাময়িক বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে কোনও নির্দেশ এখনও পর্যন্ত দেয়নি কেন্দ্র।
🔥সরকারি চাকরি, সরকারি প্রকল্প-স্কিম, সরকারি ঘোষনা, সরকারি গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট 👇👇
👉 ফুড SI পরীক্ষার রেজাল্ট দ্রুত প্রকাশিত হবে, কিন্তু কবে?
👉 ছেলে-মেয়ে সবাই এই প্রকল্পে টাকা পাবে, মেয়েরা পাবে ১২০০০ টাকা ও ছেলেরা পাবে এত টাকা
👉 আধার কার্ড কেন নিষ্ক্রিয় হচ্ছে? কেন্দ্রের কাছে জবাব চাইল হাইকোর্ট
👉 আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক না থাকলে এসব কিছুই করা যাবে না, নির্দেশিকা জারি করল UIDAI
👉 এই ছেলে-মেয়েদের মাঝপথে পড়াশোনা ছাড়তে হবেনা, চালু হলো কোটাক সুরক্ষা স্কলারশিপ
👉 বন্ধন ব্যাঙ্কেরও ছাড় নেই! দোষ করায় এই সব ব্যাঙ্কগুলিকে শাস্তি দিল RBI