WhatsApp Group Join Now

Narendra Modi: গুজরাটের একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের তৃতীয় সন্তান তিনি, পুরো নাম নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী (Narendra Damodar Das Modi)। ছোটবেলায় আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য একেবারেই ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই বাবার ছোট্ট চায়ের দোকানের ভার নিজের কাঁধেই নিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। গত এক দশক ধরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় নানান ধরনের বিতর্কের কেন্দ্রে থাকেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বেশ ধোঁয়াশা রয়েছে মানুষের মনে। তাঁর জীবনের অজানা তথ্য নিয়ে মানুষের মধ্যে চর্চার শেষ নেই। আজকের প্রতিবেদনটি তাঁর জীবনের নানান অজানা তথ্যকে ঘিরেই লেখা।

নরেন্দ্র মোদীর জন্ম এবং পিতা-মাতা

উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, 1950 সালের 17 সেপ্টেম্বর গুজরাটের মেহসানা জেলার ভাদনগরে জন্মগ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদীপিতা দামোদর দাস মুলচাঁদ মোদী এবং মাতা হীরাবেন মোদীর মোট ছয়টি সন্তান, তার মধ্যে নরেন্দ্র তৃতীয়

খুব ছোটবেলায় মোদী, ভাদনগর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বাবার চায়ের দোকানে কাজ করা শুরু করেন।
এরপর, 8 বছর বয়সে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ অর্থাৎ, RSS এর সঙ্গে যুক্ত হন। শুরু হয় RSS এর স্থানীয় শাখাগুলিতে কাজ করা।

নরেন্দ্র মোদীর বিবাহ জীবন

মোদী বর্তমানে একা থাকলেও তিনি কিন্তু বিবাহিত। 18 বছর বয়সে যশোদাবেন চিমনলাল মোদীর সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন মোদী। তবে সংসারের কারণে RSS-এর কাজে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করতে পারছিলেন না বলে বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই যশোদাবেনকে ডিভোর্স না দিয়েই সংসার ছাড়েন

ঘর ছাড়ার দুই বছর পরে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু অংশে ভ্রমণ করেন মোদী। 1968 সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বেলুড় মঠে আসেন। বাংলা ছাড়াও এই সময় তিনি আসাম ভ্রমণ করেন। এরপরে একে একে দিল্লি এবং রাজস্থান হয়ে ফের নিজের রাজ্য গুজরাটে ফিরে যান তিনি।

WhatsApp Group Join Now

বছর তিনেক পরে 1971 সালে দিল্লিতে অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে একটি জনসংঘ সত্যাগ্রহ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। মোদী সেখানে যোগদান করেন এবং এই পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যও বিভিন্ন রকমের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এভাবেই মোদী সম্পূর্ণ RSS এর একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে ওঠেন।

নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা

মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও বিরোধীদের মধ্যে প্রায়শই জল্পনা কল্পনা চলতে থাকে। মোদী অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন বলে শোনা যায়। কিন্তু PMO-র ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে লেখা থাকে, তিনি গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে MA পাশ করেছেন

এই নিয়ে 2016 সালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল, প্রধানমন্ত্রীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেজরীওয়ালের এই মন্তব্যের ভিত্তিতে তৎকালীন মুখ্য তথ্য কমিশনার গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটে উল্লেখিত ডিগ্রি সংক্রান্ত সার্টিফিকেট প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এমন কোনো তথ্য বা নথি এযাবৎ প্রকাশ করা হয় নি।

তাই মোদীর আসল শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও তাঁর রাজনৈতিক যোগ্যতা তাঁকে পরপর দুইবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছে। তৃতীয় বারের জন্যেও কি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী? সময় উত্তর দেবে।

🔥 সরকারি চাকরি, সরকারি প্রকল্প-স্কিম, সরকারি ঘোষনা, সরকারি গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।

✅ WhatsApp Group: Join Now

✅ আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট

👉 ৩ মাস ধরে ফ্রিতে চলছে আধার কার্ডের এই কাজ! আর ৫ দিন চলবে

👉 পাসপোর্ট ছাড়াই আধার কার্ড দিয়ে ঘুরে আসুন এই সমস্ত দেশ

👉 রাজ্যে ব্লক প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর পদে চাকরি

👉 ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাঙ্কের তালিকা প্রকাশ করল RBI

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *