চিন ভিত্তিক অ্যাপ Truecaller আগেই নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। যদিও স্মার্টফোনে কে কল করছে তা জানার জন্য এর বাইরে Bharat Caller সহ আরও অনেক দেশীয় অ্যাপ আছে। অচেনা নম্বর থেকে কল এলে এই অ্যাপগুলোর সাহায্যে কে ফোন করেছেন তা আগাম জানা যায়। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এই অ্যাপগুলো যে নাম বা তথ্য তুলে ধরে সেটা ঠিক নয়। এতে অবশ্য অ্যাপগুলোর দোষ নেই।
সংশ্লিষ্ট নম্বরটি যে নামে তাঁদের রেজিস্টারে নথিভুক্ত করা হয় তারা সেটাই দেখায়। এই সমস্যার সমাধানে এবং স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্তি দূর করতে এবার আসতে চলেছে এক নতুন প্রযুক্তি। CNAP নামে এই প্রযুক্তির সাহায্যে আপনাকে যেই ফোন করুক না কেন সেটা রিসিভ করার আগেই তার সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পেরে যাবেন। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) এই প্রযুক্তি ভারতের প্রতিটি স্মার্টফোনে উপলব্ধ করার জন্য সুপারিশ করেছে।
কলিং নেম প্রেজেন্টেশন (CNAP) পদ্ধতিটি ট্রুকলার, ভারত কলারের মত অ্যাপের থেকে বেশ খানিকটা অন্যরকম। আসলে এটা কোনও অ্যাপ নয়। এটি কার্যকরী হলে প্রতিটি স্মার্টফোনের মধ্যে এই প্রযুক্তি ইনবিল্ড করা থাকবে। এই বিষয়ে ট্রাই কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রককে একটি বিশেষ সুপারিশ করেছে। তাদের বক্তব্য, একটি নির্দিষ্ট তারিখের পর ভারতে যত স্মার্টফোন তৈরি হবে তাদের প্রত্যেককে CNAP প্রযুক্তি ইন বেল্ট করার নির্দেশ দিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রক।
যুক্তি হিসেবে ট্রাই-এর বক্তব্য, এই CNAP প্রযুক্তি স্মার্টফোনে থাকলে অচেনা নম্বরের আড়ালে আসলে কোন মানুষটি আছে সেটা সহজেই জানতে পারবেন গ্রাহকরা। এর ফলে স্ক্যাম কলগুলো সহজেই চিহ্নিত করা যাবে, আমজনতা অনেক কম প্রতারিত হবে বলেও তাদের দাবি।
এ ক্ষেত্রে ট্রাই জানিয়েছে, মোবাইল কানেকশন নেওয়ার সময় এখন গ্রাহকদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ পরিচয় জানাতে হয়। কারণ আধার কার্ড দিতে হয় সেখানে। ফলে কানেকশনটি কে নিচ্ছেন সেটা খুব সহজেই জেনে যাওয়া সম্ভব। টেলিকম মন্ত্রক যদি প্রতিটি সংস্থাকে নির্দেশ দেয়, তবে ওখান থেকেই খুব সহজেই মোবাইল নম্বরটি আসলে কে ব্যবহার করছেন সেটা CNAP ডেটাবেসের যুক্ত হয়ে যাবে। আর এর ফলেই স্মার্টফোনে কল এলে এবং আপনার অচেনা নম্বর হলে প্রথমে স্ক্রিনের ওপর ভেসে উঠবে সংশ্লিষ্টের নাম।
তবে গোটা বিষয়টাই এখন সুপারিশের পর্যায়ে আছে। ট্রাই-এর এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রক। তারা এই বিষয়ে কী করে এখন সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে। তবে বহু সাধারন মানুষ ট্রাই-এর এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, এতে বিভ্রান্তি অনেকটাই দূর করা সম্ভব হবে। সেইসঙ্গে প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচতে পারবে সবাই।
সরকারি চাকরি, সরকারি প্রকল্প-স্কিম, সরকারি ঘোষনা, সরকারি গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট👇👇
👉 স্কুলে পড়াশোনা তো চলবেই, তার সাথে নতুন একটি নিয়ম চালু হলো
👉 মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেই ১০০০০ টাকা মিলবে! কোথায় কোথায় আবেদন করবে দেখো
👉 CAA তে আবেদন করতে ১০০ টাকা লাগছে, তারপরেও দিতে হবে এত টাকা
👉 শুধু DA তেই শেষ না! সরকারি কর্মীদের জন্য ৩ টে সুখবর
👉 ১০০০ টাকার গল্প শেষ! এবার এই প্রকল্পে ১৫০০ টাকা দেবে সরকার